একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারনা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচন হেফাজত ইসলামের দলের অবস্থান সবাইকে জানিয়ে দিলেন আল্লামা শফী। জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ‘র কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির আমির আল্লামা আহমদ শফী। তিনি বলেন, নির্বাচনে হেফাজত কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেবে না।
সোমবার এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি আধ্যাত্মিক ও আত্মসংশোধনমূলক সংগঠন। এটি সার্বজনীন অরাজনৈতিক একটি প্লাটফরম। মুসলমানদের ঈমান-আকিদা, সভ্যতা-সংস্কৃতি, ইসলামের বিধান ও প্রতীকসমূহের হেফাজত করার জন্যে মুসলমানদের সচেতন করে তোলা এবং ধর্মীয় ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখা হেফাজত ইসলামের প্রধান লক্ষ্য।
আগামী নির্বাচনে হেফাজতকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসার পর সাংগঠনিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন আল্লামা শফী।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ফেতনাও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে মুসলমানদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদ বাড়ছে। উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের কূটচাল ব্যর্থ হয়ে হেফাজতকে নিয়ে সেক্যুলার মিডিয়া উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার চালাচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও তাহজিব-তামাদ্দুন সংরক্ষণে সর্বাত্মক ও আপোসহীন ভূমিকা পালন করে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে কোনো ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া, স্যোসাল মিডিয়া বা ব্যক্তি বিশেষের কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, হেফাজত কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয় এবং কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য হেফাজতের নেই। কারো সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক স্বার্থভিত্তিক বন্ধুত্ব বা শত্রুতা নেই। রাজনৈতিক কোনো মোর্চার সাথে হেফাজতের কোনো সম্পর্কও নেই। আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, হেফাজত কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। জাতীয়, স্থানীয় বা সিটি নির্বাচনে হেফাজত কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেয়নি, দেবেও না সামনে।